বিশেষ প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টির একটা ভোট ব্যাংক রয়েছে। রয়েছে দুইজন এমপি। তবে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির কার্যক্রমে ভাটা পড়েছে অনেক আগে থেকেই। জনসেবায়ও পিছিয়ে রয়েছে এ দলের স্থানীয় নেতারা। করোনার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দেখা মেলেনি জেলা ও মহানগর নেতাদের।
জাতীয় পার্টির সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসিম ওসমান বেঁচে থাকতেই জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়। অর্ধযুগেরও বেশী সময় ধরে তারা পূর্নাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি। এরই মধ্যে ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল নাসিম ওসমান মারা গেলে ২৬ জুন উপ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এমপি হন সেলিম ওসমান। এরপর শহরে জাতীয় পার্টির অফিস বন্ধ করে দেয়া হয়। পার্টির নেতাকর্মীদের মতে, তখন থেকেই ঝিমিয়ে পড়ে দলীয় কার্যক্রম। অফিস থাকতে ও নাসিম ওসমান বেঁচে থাকতে গোটা জেলার নেতাকর্মীরা এখানে আসা যাওয়া করতেন। তারা তাদের দলীয় এমপিকে যে কোন বিষয়ে কথা বলতে পারতেন। এমপিও তাদের খোঁজ নিতেন। এখন আর সে অবস্থা নেই। বর্তমান এমপিকে কোথায় গেলে পাওয়া যাবে, তিনি কোথায় বসেন তা জানেনা পার্টির অধিকাংশ কর্মী। আর জানলেও তার অফিসে সবার পক্ষে যাওয়া সম্ভবও নয়। তিনি বসেন, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফতুল্লার দাপায় অবস্থিত উইজডম গার্মেন্টে। এদিকে সেলিম ওসমান ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে করোনায় সহায়তা করলেও দেখা মিলছে না জাতীয় পার্টির জেলা ও মহানগর শীর্ষ নেতাদের। এ নেতাদের মধ্যে অধিকাংশ ধনী থাকলেও মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি তাদের। যা নিয়ে বিষ্মিত রাজনীতি সচেতন মহল। তাদের মতে, ‘৯০ এর পতিত স্বৈরাচার হলেও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে তার দলের নেতাকর্মীরা পল্লী বন্ধু বলে ডাকে। সেই পল্লী বন্ধুর দলের নেতা হয়ে যদি মানুষের পাশে না দাঁড়ায় তবে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা ক্ষোভের সাথে বলেন, নাসিম ভাই মারা যাওয়ার পর থেকেই দলের অবস্থান এখানে নাজুক। এছাড়া বর্তমান এমপি রাজনীতিক না হওয়ায় তিনি দল নিয়ে তেমন ভাবেনও না। তাই বাধ্য হয়েই নেতাদের ঘুমিয়ে থাকতে হয়। তবে কেউ কেউ বলেছেন, যারা বড় পদে আছেন তারাতো অনেক আগের রাজনীতিক। তারা কেন মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে না।